ভয়েস অব আমেরিকার বিশেষ প্রতিবেদন

শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদ

প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ঘোষণা দেয়া থেকে শুরু করে ডনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসি বিরোধী কথাবার্তা বলে আসছেন। ইলিনয়ের টাম্পিকোর অধিবাসিরা কি মনে করেন।

প্রতিলিপি:

ইলিনয়ের টাম্পিকো হচ্ছে রন্যাল্ড রেগ্যানের জন্মস্থান। তিনি যা করেছেন তার শতভাগের সঙ্গে আমি একমত নই। তবে হ্যা, আমরা রন্যাল্ড রেগানকে নিয়ে গর্বিত।

আমার বয়স ৫৮ বছর। এই তিনমাসে যতোটা দেখছি, আমি এ্যাতো বিভক্তি যুক্তরাষ্ট্রে আগে কখনো দেখিনি। মানুষ যেনো একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আমরা সকলেই আমেরিকান। আমাদের সকলকেই যদি একই আইনের আওতায় বিচতে হয়, তা সম্ভব নয়।

হ্যা আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। তাই বলে আপনি মেক্সিকান-আমেরিকান বা আফ্রিকান আমেরিকান বলে আমি আপনাকে আলাদা করে দেখবো না। আপনি আমেরিকান নাগরিক এটাই যথেষ্ট। কোন বর্ণ বা কোন রং এর তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আপনি যদি আমাকে সম্মান দেখান আমিও আপনাকে সম্মান দেখাবো।

আপনি কোথাও গিয়ে ডাকাতি করে আসলেন, মানে হচ্ছে তাদের প্রতি আপনার কোনো সম্মান নেই; তাই না? আপনি যদি বাইরে গিয়ে কাউকে গুলি করেন; তার প্রতিও আপনার সম্মান নেই। তাই না? তাই বলছি, আমার ঘরে যে ডাকাতি করলো তার প্রতি কি আমার সম্মান থাকবে? না।

আমাদের পুলিশ কর্মকর্তারা, আমাদের আইন আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা আমাদেরকে রক্ষা করতে না পারলে তা বড় সমস্যা। আমাদের আইনের প্রতি, আইন রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সম্মান রাখতে হবে।

আমরা কি এর পরিবর্তন করতে পারি? আমরা যা করতে পারি তা হচ্ছে আশা এবং প্রার্থনা যেনো এ অবস্থার পরিবর্তন হয়।

—বনি এ্যান্ডারসন, বার মালিক

টাম্পিকো, ইলিনয়